চিংড়ির দেহ খোলস দ্বারা আবৃত থাকে। এই খোলস পরিবর্তনের মাধ্যমেই চিংড়ির দৈহিক বৃদ্ধি ঘটে থাকে। চিংড়ির বয়োঃবৃদ্ধির সাথে সাথে পুরাতন খোলস খসে পড়ে এবং নতুন খোলস সৃষ্টি হয়। চিংড়ির এই খোলস বদলানো প্রক্রিয়াকে একডাইসিস (Ecdysis) বলে। খোলস বদলানো প্রক্রিয়া সাধারণত রাতেই ঘটে। ছোট অবস্থায় নতুন খোলস শক্ত হতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে এবং বড় অবস্থায় শক্ত হতে ১-২ দিন সময় লাগে । খোলস বদলানোর সময় চিংড়ি শারীরিকভাবে খুব দুর্বল থাকে। খাদ্য, আবহাওয়া, পরিবেশ, পানির গুণাগুণ, তাপমাত্রা, রোগবালাই, প্রভৃতির ওপর চিংড়ির খোলস বদলানো নির্ভরশীল। লার্ভা অবস্থায় এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে চিংড়ি এগারো বার খোলস পরিবর্তন করে থাকে। গলদা চিংড়ি জুভেনাইল অবস্থায় ৫-১০ দিন অন্তর একবার এবং বড় অবস্থায় ২০-৪০ দিনে একবার খোলস ছাড়ে। পলদা চিংড়ির আয়ুষ্কাল সাধারণত ৩-৪ বছর হয়ে থাকে।
স্ত্রী ও পুরুষ গলদা চিংড়ির পার্থক্য: